আকস্মিক বজ্রপাতে মৃত‍্যু মাঝবয়সী মহিলার : শোকস্তব্ধ এলাকা

7th September 2021 12:32 pm বাঁকুড়া
আকস্মিক বজ্রপাতে মৃত‍্যু মাঝবয়সী মহিলার : শোকস্তব্ধ এলাকা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  সাতসকালে বজ্রাঘাতে মৃত্যু বাঁকুড়ার মহিলার। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে মাঠ থেকে ফেরার পথেও হলো না বাড়ি ফেরা। নিরাপদ স্থান থেকে ৫০ মিটার আগেই বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু হল মধ্যবয়স্কা মহিলার। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার অন্তর্গত কাঁটাবাড়ি এলাকায়। সূত্রের খবর, আজ সকালে মাঠের কাজ করতে যান গ্রামের ৩ মহিলা, যাদের সঙ্গে ছিলেন বছর ৪০-এর বুলা রায়ও। এরপর সকালে আচমকা বৃষ্টি নামে এবং তারা ৩ জন রেনকোট পরেই বাড়ির ফেরার পথে ধরেন। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি। গ্রামের খেলার মাঠ পর্যন্ত আসতেই বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু হয় বুলা রায়ের। যদিও তার সাথে থাকা ২ জন সুস্থ আছেন এখনো। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাটাবাড়ি পঞ্চায়েতের ভেদুয়া বুথের  সদস্যা শিবলী রায় । এসে তিনি, ঘটনার সমবেদনা জানান এবং বলেন মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলের ২ লক্ষ টাকা ওই মৃত মহিলার পরিবারের হাতে শীঘ্রই তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি আসে ওন্দা থানার পুলিশ,  এরপর ঘটনাস্থল থেকে মৃত্যু দেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।